Friday, February 23, 2018

শেষ যুগের রূহী দরবার ( ওয়ার্ল্ড মাহদীয়ত ভিশন )



কারার মোহাম্মদ আবু সাঈদ “ খসরু “
শাহেদল , হোসেন পুর , কিশোর গন্জ ।
Email :- kararsayed2@gmail.com
.
”মাহদীয়াতে হু আল্লাহু”
আস্তানায়ে পাক দরবারে মূসাবীয়া
তরিকায়ে রহমানীয়া,সিলসিলায়ে আল কাদেরীয়া.
সলীকায়ে মূসাবীয়া, রহমানীয়া ভান্ডারীয়া ।

ঢংকায় রহমানীয়া-তাল ভান্ডারীয়া- এলাহিয়া 
আহাদীয়া - হুইয়া হু ।
সকল - ধর্মের - সু-সংবাদ ,
মুক্তির - ঠিকানা ।

মূসাবীয়া-
অর্থাৎ: ছিররে রহীম হাদীদে জমান শায়খে ফায়াল পীরে হক মাহবুবে ছোবহান মওলায়ীল করীম ছাহেবে মোকাম্মেল হু কেবলা কাবা আশরাফুল আওলীয়া হুজুরে আজম আল্লামায়ে রহমানী আবুল মুনীর আল মোকাররম মওলানা ছুফী শায়খ মূসা আহমদুল হক ছিদ্দীকী হানফী রহমানীয়া তাল ভান্ডারীয়া আহমদীয়া তুল আহাদীয়া শাহ্।
সুতরাং জাতে মোনাজ্জায়ে মোবাররায়ে হু মসীয়তে এরসালী মাআদ্দার হেদায়ত রেসালতে কোবরা মোহাম্মদে মোস্তফা আহমদে মোজতাবা (দঃ) হুঈয়া-হু-বেলায়তী যুগেমোহাম্মদীয়তনামে ক্রম বিকাশে আখের খাতেমুল বেলায়তে ওজমা আহমাদীয়া তুল ভান্ডারীয়া রহমানীয়া তাল ভান্ডারীয়ার মাধ্যমে উক্ত হেদায়তী হায়াতী আকর নোকতার সংশ্লিষ্ট ফয়উজাতে এত্তেহাদী হু- তায়াল্লকীয়ছিরমাআদ্দায়-হেদায়ত ত্ববলীগার্থে- খাতেমুল আহাদের তায়াল্লকে- মূসাবীয়া নামকরণ বলিয়াই শোহরতেঃ- কুল হু খাতেমুল বেলায়তে ওজমা -হু রহমানীয়া তাল ভান্ডারীয়ার ছিররে রাজে মখফী- “দরবারে মূসাবীয়াযাহা ছিররে রেসালতে কোবরা মোহাম্মদে মোস্তফা-আহমদে মোজতাবা (দঃ) হুঈয়া হু।
পাককোরানঃ- এরফানে হকই জিন মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য। এরফানে হক তজকীয়া ব্যতিত অসম্ভব। বিনা-বায়াতে- তজকীয় দুঃসাধ্য। অতঃপর রূহী সূতের সংযুক্তিতে (বায়াত হওয়া) তজকীয় লাভ করা ব্যতিত এরফানে হক দুষ্কর দুঃসাধ্য।
পাক কোরানে আল্লাহর হুকুমঃ-
০১। হে মোমেনগণ আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁহার নৈকট্য লাভ মিলনার্থে মোরশেদে কামেলের উছিলা তালাশ কর। ০২।  হে মোহাম্মদ (দঃ), যাহারা আপনার নিকট বায়াত হইয়াছে, নিশ্চয়ই তাহারা আল্লাহতায়ালার নিকট বায়াত হইয়াছে। আল্লাহ্তায়ালার হাত তাহাদের হাতের উপর। ০৩। তোমরা আল্লাহর (অবতীর্ণ) রজ্জুকে (সূত) মজবুত করিয়া ধর এবং ভিন্ন হইও না। সুতরাং প্রত্যেক আকলে বালেগের জন্য হু নোকতায় সংশ্লিষ্ট ছাহেবে মোকাম্মেল হু- বা  কদমে রসূল ইনছানে কামেল পীরে হক শায়খে ফায়ালের রূহী সূতে বা তায়াল্লকীয় সূতে বা তৎ তায়াল্লকীয় সূতে আজিজী হালে বায়াত হওয়া নিশ্চিত জরুরী। পীরে কামেল শায়খে ফায়ালের সঙ্গে মুরীদানের যে রূহী সম্বন্ধ বা নিছরৎ তাহা আল্লাহরই সম্বন্ধ। উম্মতগণের প্রতি নবী যেইরূপ মুরীদানের প্রতি জমানায় শায়খও (জমানায় পীরে কামেল) তদ্রুপ, (আল-হাদীছ)


বায়াতঃ- অর্থাৎ- শায়খে ফায়াল ছাহেবে মোকাম্মেল হু নোকতার রূহীসূত বা তায়াল্লকীয় সূত অথবা তৎ তায়াল্লকীয় সূত প্রত্যেকের (স্বীয়) কলবের খিলকতী রূহী আকর নোকতায় সংযুক্ত করা বা যুক্ত হওয়াই- বায়াত হওয়া। আল্লাহ্ হুই ভাল জানেন।
উল্লেখ থাকে যেঃ- কলবীয়ান মৌখিক এবাদতে এবং রূহী মাআদ্দায় উন্নত দরবারীর শাফায়াত যুক্তে একাগ্রচিত্তে এশকে আজিজী রূজুয়ী হালের তালেবীয়তের প্রত্যাশীদেরই খিলকতী রূহী সূত যুক্ত (বায়াত) হয়। তৎপর ত্বরীকামূলক সলীকায়ে রূহীর নির্ধারিত রেয়াজতে শাক্কায় এবাদত ক্রমে কলবে নূরী বিদ্যুৎ সঞ্চার বর্ষে। উহাই তায়াল্লকীয় ফয়উজাতে এত্তেহাদী হু। অতঃপর ফরউজাতে এত্তেহাদী হু সংশ্লিষ্ট তজকীয়ান্তে তকমীলি নছিব হয়।
সুতরাং তজকীয়ায় তকমীলী নূরী বা এরফানে হুই সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। বফজলে তায়ালা জমানা হিসাবে এই দরবারই আসরারে এলাহীত্বের গুরুত্ব বিশেষ। অতএব খাতেমুল রেসালতে কোবরা শাহে কওনাইন হুজরে আকরম মোহাম্মদে মোস্তফা আহমদে মোজতবা (দঃ) এর ভেদময় ছির যাহা শোহরতে-কুল-হু খাতেমুল বেলায়তে ওজমা আহু-রহমানীয়া তাল ভান্ডারীয়ার ছিররে রাজে মখফী নিহীত রহস্যসয় সারমর্ম। বফজলে করমে মেহেরে মওলায়ী এই রূহী দরবারে হুজুরী কলবে একাগ্রচিত্তে এশকে আজিজী হালে পূর্ন রূজু (বায়াত) হইলে এবং দিলী আজিজী সহকারে এলতেজা করিলে-দীন দুনিয়াবী যে কোন হাজত, মকছুদ,আশা, কামনা পূর্ন হইতে পারে। আল্লাহু- রহমান করীম রহীম রব্বানা এবং রূজয়ী ছোহবতে উরূজে রূহানীয়তের অসীম ফয়উজাতে রহমানীয়া হাছেল হয়।
ফজলুল্লাহু আল করমী।


এতএব সকলেই ফয়উজাতে রহমানীয়া দোজাহানের উন্নতি সাধনে পূর্ণ কামিয়াবী হাছেল করুন।


মাআদ্দায় এরসালী হু মরকজই দরবার নামে অভিহিত। নতুবা দরবার নামে অভিব্যক্তি করা অন্যায় হইবে। হু-নোকতায়ে রহমানীয়ার মরকজই দরবারে মূসাবীয়া।
সুতরাং মূসাবীয়া বেলায়ত রহস্যে বায়াত গ্রহন-রহমানীয়া বেলায়ত রহস্যে গ্রহন-ভান্ডারীয়া বেলায়ত রহস্যে-মোহাম্মদী (দঃ) রেসালত রহস্যে আল্লাহ-হু-রহস্য করমে বায়াত গ্রহন। যাহা আহাদে-হু-মজ্জী করমে মূসাবীয়া নাম-করনে আবহমান কাল পয্যন্ত স্থায়ী থকিবে। অতএব, মূসাবীয়া-রহমানীযা-ভান্ডারীয়া-এলাহীয়া-আহাদীয়া-হুঈয়া হু এর মুরীদ।খাতেমুল আহাদের তায়াল্লকে মওলায়ী-হু-ওহাবুন করীমের নিদ্ধারিত অবস্থা ব্যতীত অন্য কাহাকেও বা কাহারো প্রতি আজিজী করা নিষেধ। যাহাকে আজিজী করিলে তাহার বাহ্যিক প্রবৃত্তি খুশী হয় এবং নিজকে উন্নত মনে করে মওলার প্রতি সে আজীজ বা নত না হয়। তরীকত পদ্ধতী মতে তাহার প্রতি আজিজী করা দূরে থাকুক, সালাম বা সম্মান সূচক কোন ব্যবহারও তাহার প্রতি নিষিদ্ধ।

জাতী তায়াল্লকীয় মশীয়তে মাআদ্দা-মরকজে নোকতায়ে হু তায়াল্লকীয় মোকাম্মেল বশর-রূহী পিতা-বাবাজান। আল্লাহ তায়ালার নিদ্ধারণ মতে হজরত মোহাম্মদ (দঃ) রূহী পিতা বাবাজান। তাহার বিবিগন রূহী মাতা। কোরআন বানী-অল্লাহ পাক বলেন, “মোমেনদের নিকট তাহাদের নিজ দেহ হইতেও নবী অতি প্রিয়।নবীর বিবিগন তাহাদের মাতা
উক্ত আয়াতের তফছীরে আল্লামা মুহীউদ্দীন ইবনে আরবী বলেন, “মোমেনদের নিকট নিজ দেহ হইতেও নবী অতি প্রিয়।যেহেতু তিনিই তাহাদের হাকীকী অজুদের উৎস এবং কমালিয়তের খনি। জাতী তায়াল্লকীয় দুই প্রকার পবিত্র ফয়জ ১ম অবস্থায় আয়ত্বশীল এবং ২য় অবস্থায় পূণতা প্রাপ্ত, উভয় ফয়উজাতের উৎস তিনিই। সুতরাং তিনি হাকীকী পিতা এবং তাহার বিবিগণ মাতা।তিনিই মোমেন এবং আল্লাহর মধ্যে সম্পক স্থাপনের উছিলা। মোমেনগণের কমালিয়ত অজ্জনের নিমিত্ত তিনিইমরজাপ্রত্যাগমনস্থল। আল্লাহী ফয়জ তাহার মধ্যস্থতা ব্যতীত প্রাপ্ত হইবেনা। কারন তিনিই পবিত্র পদ্দা এবং একীনে আওয়াল। যেমন তিনি বলেন-“আল্লাহ পাক সব্ব প্রথম আমার নূরকে সৃষ্টি করিয়াছেন।সুতরাং মোমেনগন যদি তাহাকে নিজ দেহ হইতে বেশী মহব্বত না করে, তখন তাহারা স্ব-স্ব দেহের অবতে (পদ্দায়) পতিত হইবে। তাই তাহারা মুক্তি প্রাপ্ত হইবে না। যেহেতু তাহাদের মুক্তি জাতে মোহাম্মদের ফানায় নিবন্ধ। কেননা তিনিই জাতে পাকেরমজহারে আজমপ্রধান বিকাশ স্থল।
তৎপরবতী যুগে-মোহাম্মদীয়তের মোজতামা বা মরকজে নোকতায়ে হু তায়াল্লকীয় মোকাম্মেল বশর রূহী পিতা বাবাজান। যাহা আখের হজরত মওলায়ে রহমানের জাতে পাকে মোজতমা হইয়া জহুরতম উন্নত অবস্থায় বাবাজান কেবলা খেতাবে প্রসিদ্ধ হন।তাই হু নোকতায়ে রহমানীয়া যাহা পরবত্তী মূসাবীয়া নামে তায়াল্লক যুক্ত, উহাকে সম্বোধন করিতেও আদবের লেহাজ করতঃ কিছু পরিবত্তন করিয়াকেবলা বাবালকবে সম্বোধণ করিবে।দরবারে মূসাবীয়ার মুরীদানগণও বাবাজান কেবলা বলিয়া সম্বোধন করিবেনা। বাবাজান বা কেবলা বাবা শব্দে সম্বোধন করিবে।নোকতায়ে হু তায়াল্লকীয় মরকজ ব্যতীত অন্য কোন পীরকে বাবজান কেবলা খেতাবে ভূষিত করা রূহী এস্তেলাহ মতে অন্যায়।

এখানে ক্লিক করুন নতুন ব্লগ আসবে 



আত্মা-পরমাত্মার মিলন সম্পর্কের গুপ্ত রহস্য, সৃষ্টি জগতের মহা খুশীর দিন।
মকামে আহাদীয়তে-হু-উরূজ প্রাপ্ত জাতে মোনাজ্জায়ে মোবাররায়ে হু-এর সংস্পশে, তজকিয়া-তকমীলী বশরে উলববী যেই দিন এই ধরাধম ত্যাগ করেন, সেই দিন নূরে ওহাদানীয়তের তছররোফাত-কার্য্যকরী ক্ষমতা তিন রূপে বিভক্ত ক্রমে, প্রথমতঃ জাতে মোনাজ্জায়ে মোবাররায়ে-হু এর সহিত মিলিত হন। সেইজন্য উক্ত দিনকে মিলনের দিন বলা হয়। দ্বিতীয়তঃ তজকীয়া তকমীলী প্রাপ্ত নূরে মোজাচ্ছমের সহিত, মরকদে আতহারে (কবরে) অবস্থান করেন। যাহা হইতে ফয়জ বিকিরণ ওফাতের পরও সক্ষম। কিন্তূ মাআদ্দায় হেদায়ত নূরে আহমদী-আহাদী চিরন্তন খোদায়ী নিয়মে একজন সাহচয্য প্রাপ্ত খিলকতী মোহরযুক্ত নোকতায়ে আকর সংশ্লিষ্ট তজকিয়া তকমীলী নূরী-হু করমে হায়াতী বশরের মধ্যে বিকশিত হয়। তিনি যুগের মরকজ বিধায়, উক্ত নূরে আহাদীয়তে হু এর তায়াল্লকীয় রূপে জীব কোরবানী সমন্বয়ে রূহী খুশী জনিত দিনকে খোশরোজ বলা হয়।যাহা পূব্বতন মরকজের ওরসে হায়াতী। উক্ত মাআদ্দায় হেদায়ত হায়াতী বশরের নিকটই বায়াত গ্রহণে এশকানা রুজুয়ীতে তজকিয়া তকমীলে নূরী নছীব হয়।জাতে মোনাজ্জায়ে মোবাররায়ে হুএরফানবা স্বীয় বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টির মঙ্গল দায়ী রূপে তনজ্জুল ক্রমে জাতে মোহাম্মদ (দঃ) এর মধ্যে মাআদ্দায় হেদায়ত রূহী সূতের অবতরণে, জিছমে মোহাম্মদীকে আকষিত করেন। যার সংস্পশে জিছমে খাকী (মাটির দেহ) নূরীতে রূপান্তরিত হয়। এইজন্য তাহার এতায়াত আনুগত্যা জাতের আনুগত্যা এতায়াত।

খাতেমুন নবীঈন হুজুরে আকরম (দঃ) এর জিছম মোবারেকে, রেসালতী মোহর বিদ্যমান ছিল। পরবতী পযায়ে আজলী খিলকতি বেলায়ত মোহর যুক্ত ইনছানের কলবে, মাআদ্দায় এরসালীর সংযুক্তি করমে তাহারা মাআদ্দায় এরসালী হু এর মরকজে অভিহিত হন।উক্ত নূরে মোহাম্মদী আহাদীয়তে হু হজরত আবুবকর ছিদ্দীক (রঃ) এর জাতে তকমীল প্রাপ্তে নূরে হেদায়ত মাআদ্দায় মাহদীয়ত খোদায়ী চিরন্তন নিয়মে সৃষ্টি জগতে বিকাশ লাভ করেন। কোর-আনের পরিভাষায় যাহাকেদীনে কাইউমস্থায়ী সঠিক ধর্ম্ম বলা হইয়াছে।
অতএব, যাহা পূব্বতন মহামানবের ওরসে হায়াতী, তাহা পরবর্তী  সৌভাগ্যবান মাহাপুষের খোজরোজ। যথাওরসে হায়াতী মোহাম্মদী (দঃ)শাহী খোজরোজে ছিদ্দীকে আকবরুল মোকাররমএবংওরসে হায়াতী আহমদী শাহী খোজরোজে রহমানীসৃষ্টির মঙ্গলার্থে  উহা উদযাপন করা তালেবানের দায়িত্বে অপরিহায্য ওয়াজেবী এবাদত।মানব দেহের জিছমে খাকীর জম্ম তারিখকে খোশরোজ বলা বিধেয় নহে। যেহেতু তাহা ফানী অস্থায়ী। অস্থায়ী কোন নস্তুর প্রতি আসক্তি অন্যায় এবং গায়রুল্লাহর তালেব সর্বদা  দুনিয়ার মোহে অচ্ছন্ন।
Add caption

ছিররে রেছালতে কোবরা নূরে আহমদী-আহাদীয়তে-হু-মওলায়ে রহমানের মাআদ্দায় হেদায়ত তকমীলী রূপে খাতেমে বেলায়তে ওজমা রহমানীয়ার ছিররে রাজে মখফীমূসাবীয়ানামকরনে খোদায়ী চিরন্তনদীনে কাইউমের” ‍নিয়মানুসারে হেদায়তী ধারার বিকাশ ক্রমে হায়াতী বশরের সংযুক্তিতে দশই শাবানের সহিত ইহার সম্পক গড়িয়া দিয়াছেন। উক্ত তারিখে হু এর তনজ্জুলী মাআদ্দারই খোশরোজ উদযাপিত হয়। কোন জিছমে খাকী মানব দেহের খোশরোজ নহে। উক্ত মাআদ্দায় হেদায়ত ঐদিন মূসাবীয়া নামে জহুরে, উহাওরসে হায়াতী রহমানীয়া শাহী খোশরোজে মূসাবীয়া
হু-এর নূরী মাআদ্দায় তনজ্জুলী-আখের খাতেমে বেলায়তে ওজমা রহমানী, ছিররে খাতেমুল আওলীয়া মওলায়ে রহমানের জাতে পূর্ণতা  তকমীলে-হু ফজলে মূসাবীয়া নামকরণ হওয়ায় ইহা, দরবারেঃ- মূসাবীয়া-রহমানীয়া-  ভান্ডারীয়া-এলাহীয়া-আহাদীয়া-হুঈয়া-হু।
সুতরাং-আত্মা-পরমাত্মার আকর্ষণিক যুক্ত মিলন সম্পর্কিত প্রেমাকাঙ্খার এশকানা গ্রপ্তরহস্য। যাহা রূহী কেন্দ্রে বা রূহী কেন্দ্রের তায়াল্লকে উদযাপন করা, আশেক-তালেবানের রূহী কর্ত্তব্যে নিতান্তই জরুরী।যেহেতু ইহা রূহী সলীকায়, উরূজে রূহানীয়ত বা তজকিয়ান্তে তকমীলী নূরীর সহায়ক রূপী শ্রেষ্ঠতম এবাদত। ওরস খোশরোজ শরীফ বেলায়তের আহকামে

ওরস শব্দটি আধ্যাত্মিক রূহী প্রচলন। আত্মা-পরমাত্মার অকষণিক যুক্ত মিলন সম্পর্কের গুপ্ত রহস্য। অথাৎ-মরকজে দৌরে কমাল-ইনছানে কামেল বা ছাহেবে মোকাম্মেল হু বশরের ভিত্তিতে খিলকতি আকর নোকতায় সংশ্লিষ্ট নূরে মোহাম্মদী জাতে হুঈয়া-হু এর নূরী তায়াল্লক।বাতেন। যাহার সহিত সেমআরও নিকটতম সম্পর্ক। অতএব, ওরস শরীফ ভাষাবিহীন এবাদত। নেয়াজ-ফাতেহা, ইছালে ছওয়াব ভাষাগত এলতেজা বিধায়, দোয়া-মুনাজাত সহকারে আদায় করা হয়। ওরস শরীফে কলবী রুজুয়ী এলতেজা মোস্তগরক-হু।
১।পীরে কাওয়াল”-যাহারা মুরীদানকে শুধুমাত্র্র কথা-বার্ত্তা দ্বারা সৎকাজে অনুপ্রেরনা দিয়া থাকেন। তাহাদের দ্বারা মুরীদানের প্রতি ফয়জে এনয়েকাছী স্বরূপ ফায়দা লাভ হইয়া থাকে। অর্থাৎ সৎকাজের প্রতি সাময়িক মহব্বত হাছেল হয়।
২ ।পীরে এরশাদী”-যহারা মুরীদানকে সৎরাস্তা দেখাইয়া থাকেন এবং মুরীদানকেফয়জে এলকায়ীদানে সমর্থ্য। অথাৎ পীরের সংস্রবে থাকিলে, এবাদতের প্রতি মহব্বত জন্মে। পীর আবেদ বটে, রাহে ছলুকের কোন খবর রাখেন না এবং মুরীদানকেও রাহে ছলুকের বা-হু রহস্যের সন্ধানে কোন সাহায্য করিতে পারেন না। যাহা ব্যতীত তজকীয়া সম্ভব নহে।রূহানীয়ত প্রদানে বায়াত করার ক্ষমতা তাহাদের নাই। শুধু আকায়েদ প্রদান করিতে পারে বটে।কমালীয়ত  অর্জন  বিহীন, পীর-মুরীদী সম্বন্ধ স্থাপনে বায়াত করা বরবাদী ধ্বংসের ফাঁদ। সে নিজেও পথ ভ্রষ্ট, অন্যকেও পথ ভ্রষ্ট করিতে সচেষ্ট।

৩ ।পীরে মগা”-যাহারা  ‍মুরীদানকে মঞ্জিলে মকছুদের দিকে পথ প্রদর্শন করিয়া থাকেন এবংফয়জে এছলাহীদান করিতে সমর্থ্য। যেই ফয়জের  তাছিরে মুরীদানের খারাবী খাছলত ক্রমান্বয়ে দূরীভূত পূর্বক রূহানী উন্নতি লাভ করতঃ মঞ্জিলে মকছুদের দিকে অগ্রসর হইতে থাকে। তাহারা ইছালে ইলাল মতলুব বিধায়, মুরীদানকে সেই যুগের মরকজে হু শায়খে ফায়ালের দিকে রুজু করাইয়া দেন। যুগে শায়খে ফায়াল বিদ্যমান না থাকিলে তৎপূর্ববর্ত্তী  যুগের মরকজে হু যাহার দাওরা যুগ তখনও শেষ হয় নাই, তাহার প্রতি রুজু করাইয়া দেন। তবেই মঞ্জিলে মকছুদে পৌছিবে।

৪ ।পীরে ফায়াল-যাহারা ছেফাতে রাব্বী  মোতাজাল্লা। খোদায়ী ছিফত তদ্রুপ পীরে ফায়াল, আল্লাহী ইচ্ছা শক্তি সম্ভব সব কিছু করিতে সমর্থ্য । তাহারা  -মনজেলায়ইছালুল মতলুবতাহারা মুরীদানকেফয়জে এত্তেহাদীদান করিতে সক্ষম। অথ্যৎ পীরের নজরের দ্বারা মুরীদানের কলবের সহিত স্বীয় ইচ্ছা শক্তির সংযুক্তিতে, রূহ-কলব এবং অন্যান্য লতায়েফ, এমন কি সারা শরীরে এক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। তাহারফয়জে এনজেজাবীআকর্ষণ  শক্তির দ্বারা, মুরীদ গরমীয়ে তজল্লী অনুভব করিয়া থাকেন। দূর বা নিকটের কোন প্রশ্ন নাই। পীরে ফায়ালের বরজখ ধ্যানে রুজুয়ী কলবের দ্বারা ফয়উজাত জারী হয়।মাহবুবে ছোবহানী গাউছুল আজম হঝরত পীরানে পীর দস্তগীর (কঃ) বলেন-“আল্লাহ তায়ালার বন্ধুদের ছোহবত সাহচর্য্য গ্রহণ কর। তাহাদের নিদর্শন হইল, তাহারা যদি কোন ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টি করতঃ স্বীয় ইচ্ছা শক্তি নিবদ্ধ করেন, তাহাকে জিন্দেগী দান করেন। যেহেতু- নজরের বরকতে তাহার কলব রূহানী শক্তির অপূর্ব  হায়াতে জিন্দেগী লাভ হয়। উক্ত দৃষ্টি প্রাপ্ত ব্যক্তি ইহুদী হউক কিংবা নাছারা মজুছী হউক না কেন! রূহানী জেন্দেগী নজরের বরকতেই আরম্ভ হইয়া থাকে। যদি মুসলমান হয়, ঈমান শক্তিশালী হইয়া যায়, একীন বাড়িয়া যায় এবং সঠিক পথে দৃঢ়তা প্রাপ্ত হয়।
এই পীরই রসূলের প্রতিণিধি-খলিফায়ে রসূলুল্লাহ এবং খলীফাতুল্লাহ আলাল আরদ। যেহেতু হুজুরে আকরম (দঃ), আল্লাহ তায়ালার পূর্ণ  ঝলওয়া বিকাশ স্থল ছিলেন। যাহা তিনি ভাষায় প্রকাশ করেনঃ-
যে আমাকে দেখিয়াছে, সে  হককে দেখিয়াছে অথ্যাৎ আল্লাহকে।

হুজুরে আকরম (দঃ) ইহ জগত হইতে তশরীফ নেওয়ার সময় জাতে হু এর মাআদ্দায় এরসালী মশীয়তে-হু মোহাম্মদী (দঃ), হজরত আবু বকর ছিদ্দীকে অকবরুল মোকাররম (রঃ) এর পূর্ণতা “ হুপ্রাপ্ত হন। রসূলের বানী হইতেও তাহা বুঝা যায়।আল্লাহ এবং মোমেনগন, আবু বকর ব্যতীত অন্য কহাকেও আমার স্থলাভিষিক্ত হিসাবে স্বীকার করিবেনা।তাই আবু বকর (রঃ) নিকট প্রত্যেকে বায়াত গ্রহন করেন। উক্ত মাআদ্দায় এরসালী মশীয়তে-হু মোহাম্মদী (দঃ), পরবত্তীকালে প্রায় ৫০০ বৎসর পর মুহীউদ্দিন উপাধি ধারণ করিয়া গাউছুল আজম মশরেকী হজরত পীরানে পীর দস্তগীরের জাতে, পূণতা লাভ করায়, মাআদ্দায় এরসালীর মরকজ রুপে তিনি বলেন- আল্লাহর সৃষ্টিজগত আমার রাজ্য। আমার হুকুমের পদানত; আমার পথ সর্ব  প্রথম থেকেই উন্মুক্ত। যেহেতু তিনি শায়খে ফায়াল এবং খলীফাতুল্লাহে আলাল আরদ। শেষ যুগে মাআদ্দায় এরসালীর মরকজ হু তকমীলে ণূরী “ হুরূপে বিকাশ লাভ করেন জনাব গাউছুল আজম হজরত কেবলা মাইজভান্ডারী শাহ। তিনি রেসালতে মোহাম্মদীর গুপ্ত রহস্য-আহমদে মোজতবা রূপে বেলায়তে আহমদীর অধিকারী।খলীফাতুল্লাহে আলাল আরদ।তিনি শায়খে ফায়াল ছিলেন বিধায়, যে কোন অবস্থায় মুরীদানকে ফয়জে এত্তেহাদী দানে সমথ ছিলেন।

নবী করিম (দঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মকামে একীনের নিজ অংশ উপলব্ধি করিতে সমর্থ, তাহার জাহেরা নামাজ এবং রোজা আদায়ে কমতি হইলেও ভয়ের কারন নাই। তফছীরে ইবনে আরবী ৭৮ পৃষ্ঠা। যেহেতু সে রূহী এবাদতে নিয়োজিত।
ছালেক মকামে আহাদীয়তে-হক্কুল একীন স্তরে উরূজ করিলে, এবাদতে মোতনাফিয়া তাহার জন্য জরুরতহীন অনাবশ্যকীয়।
হে মোহাম্মদ (দঃ)! তোমার প্রভুর পবিত্রতা প্রশংসা বণনায় এবং তাহার জাতের মধ্যে ফানায়ে বশরীর সজিদা আদায়ে এবাদত করিতে থাক। যতক্ষন পয্যন্ত হক্কুল একীন দরজায় উপনীত হওয়ার সক্ষমতা অর্জ্নে সফলতা লাভ হয়। তখন তোমার অজুদে বশরী বিনাশে তোমার এবদতের পরিসমাপ্তি ঘটিয়াছে। যেহেতু তিনিই  আবেদ এবং তিনিই মাবুদ  তিনি  ব্যতীত  কিছুই নাই। তফছীরে ইবনে আরবী ১ম খন্ড ১৭৭ পৃষ্ঠা।

এলমুল একীনঃ
এক ব্যক্তি অন্য একজন বিশ্বস্ত লোকের নিকট জানিতে পারিল যে, অমুক ব্যক্তি ঘরে আছেন। ইহাতেই সে বিশ্বাস স্থাপন করিল।ইহাকে ঈমানে বিল গায়েব বলা হয়।  অথাৎ না দেখিয়া, শুনিয়া বিশ্বাস স্থাপন করা।তখন লোকটি আরও অগ্রসর হইয়া দেখা করার উদ্দেশ্যে উক্ত ঘরের নিকটে উপস্থিত হইলে, বাহির হইতে উদ্দেশ্য ব্যক্তির আওয়াজ শুনিতে পাইয়া সঠিক জ্ঞান-ধারনা জন্মিল যে, ‍উক্ত ব্যক্তি নিশ্চয়ই এই ঘরেই আছেন। তাহাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই। ইহাকে এলমুল একীন বলা হয়।
আইনুল একীনঃ
আইনুল একীন শব্দের আভিধানিক অথ, কোন বস্তুকে দেখার পর, উক্ত বস্তুর অবস্থা, গঠন প্রণালী এবং হকীকত-প্রকৃত তত্ব সম্বন্ধে পুরিপূণ উপলব্ধি করিতে সক্ষম হওয়া। যাহাতে সন্দেহের লেশ মাত্র অবশিষ্ট থাকে না।যেমন-বর্ণিত ব্যক্তি আরো কিছু অগ্রসর পূবক ঘরে উপস্থিত ব্যক্তিকে বাহির হইতে দেখিতে পাইয়া বিনা সন্দেহে জ্ঞান লাভ হইল যে ইনিই তাহার অভিষ্ট ব্যক্তি।

হক্কুল একীনঃ
ইহা একীনের সমস্ত দরজার উপরের স্তর।তৎ আভিধানিক অর্থ হইল, কোন ব্যক্তি উক্ত বস্তুর মধ্যে নিমজ্জিত হওয়া, অথবা একাত্ম হওয়া অথবা বস্তুর সহিত পরিপূর্ণ  মগ্ন হওয়া।(লোগাতে কিশোয়ারী) যেমন-আরো অগ্রসর পূর্বক, ঘরের ভিতর ঢুকিয়া প্রিয় ব্যক্তিকে আলিঙ্গানাবদ্ধের জন্য লাপাইয়া পড়িয়া, কোলাকোলীর দ্বারা একাত্ব হওয়া এবং অবস্থায় মগ্ন হওয়া।
 দরবারে মূসাবীয়ার তালেব-মুরীদান, আছলে শরআর খেলাফ কোন কাজ করা নিষেধ। ছালাতে দায়েমার মাআদ্দাই নামাজের প্রকৃত উদ্দেশ্য।

কোরআন বাণীঃ
ইনছান প্রকৃতি গতই বেছবর এবং অস্থির। কিন্ত যে মোছল্লী ছালাতে দায়েমায় রত, তাহারাই সফলতা অর্জন করিয়াছে
তফছীরে শায়খুল আকবর হজরত আল্লামা মুহীউদ্দীন ইবনে আরবী (কঃ) বর্ণনা  করেন যে, ইনছান-মানব জাতি, তৎ সৃষ্টির প্রভাব অনুযায়ী নফছের-প্রবৃত্তির স্বভাব অনুসারে খারাবীর উৎস। কিন্ত  যাহারা, আল্লাহর তলবে সম্পূর্র্ণ রূপে স্বচেষ্ট রহিয়াছেন নফছের কুপ্রবৃ্ত্তি হইতে মুক্তি পাইয়াছেন এবং নফছের স্বভাব হইতে পবিত্রতা অর্জন করিয়াছেন।অর্থাৎ যাহারা মিলনের দরজায় উন্নীত এবং শহুদে জাতী-মকামের অধিকারী তাহারাই পরিত্রান লাভ করিয়াছেন। যেহেতু মোশাহেদাই রূহের ছালাত। তাহারা সব সময় মোশাহেদা অবস্থায় বিদ্যমান থাকায় নফছের তৎ স্বভাবের প্রতিক্রিয়া বহির্ভূত। মশহুদ বা দৃষ্টি নিয়োজিত, জাত ব্যতীত সবকিছু হইতে যাহারা পরিত্রান লাভ করিয়াছেন, তাহারাই সফলতা প্রাপ্ত ইনছান।

কোরআন বাণীঃ
তোমরা ছবর এবং ছালাতের দ্বারা সাহায্য প্রাথনা কর।
তোমরা সমস্ত শক্তির মালিকের নিকট সাহায্য প্রাথনা কর। যেহেতু কর্ম ক্ষেত্রে তোমাদের কোন শক্তি নাই। তবে তোমরা যাহা না পছন্দ কর, তাহা ঘটিলে এবং তোমাদের ইচ্ছা কৃত কর্মের সফলতা না দেখিলে ধৈয্যধারন কর। তবেই তোমরামকামে রজায়পৌছেতে সক্ষম হইবে। আল্লাহপাকের তজল্লীয়াত নজুলের আকাঙ্খায় (ছালাত) হুজুরে কলবের সহিত সাহায্য চাও। মোরাকেবা এবং হুজুরে কলবী বড়ই শক্ত-কঠিন। কিন্ত যাহাদের অন্তকরনকলবজাতে পাকের সৌভাগ্যময় নূরে তজল্লী গ্রহনে উন্মুখ এবং কহরী তজল্লী হইতে দৃঢ়তা প্রাপ্ত। তাহাদের পূণ বিশ্বাস যে, তাহারা মাবুদের সামনেই। অথাৎ মাবুদের সামনে বিনয় অবস্থায় যাহারা নূরে তজল্লীল আকাঙ্খায় রত, তাহাদের পক্ষেই রজায়ে মওলা এবং হুজুরে কলবী সম্ভব। (তফছীরে ইবনে আরবী ১ম খন্ড ১৬ পৃষ্ঠা)
মওলানা রুমী (কঃ) বলেনঃ-
পাচ ওয়াক্ত নামাজ হইল পথ প্রদশক মাত্র। আশেক-প্রেমিকগন ছালাতে দায়েমায় অথাৎ সব সময় নামাজে রত।
রওজায়ে খাদিজাতুল কুবরা রাঃ

মাওলানা রুমি (কঃ) বলেন:-
প্রকৃত পক্ষে তাহারাই রসুলের নায়েব বা প্রতিনিধি, যাহাদের অন্তকরনে আল্লাহরআহকামবিধি ব্যবস্থা অবতীর্ন হয়।
নবী (সা:) গনের প্রতি যুগোপযোগী আহকাম অবতীন হইত। খাতেমুন নবীঈন হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর নিকট নবীয়ে আউয়ালীন ওয়া আখেরীন হিসাবে সব কিছুর এজমালী এবং তফছীলী আহকাম রুপে অহী অবর্তীণ হয়।
হাদীছ শরীফে বর্ণীত  আছেঃ-
হযরত আবু হোরায়রা (রঃ) হইতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট  জিগ্গাসা করা হইয়াছিল, এয়া রাসূলল্লাহ! আপনি কখন নবুয়াত প্রাপ্ত হন? হযরত (দঃ) বলেন, আদমের দেহে-রুহের সংসৃষ্টের পূব্বেই। অর্থাৎআদম সৃষ্টির আদিতেই আমি নবী।
আওলীয়ায়ে কেরামগনের প্রতি, আহকাম পরিবর্ত্তন রুপী অহী নাজেল হইবেনা বটে, উহার যুগোপযোগী বিষদ বর্ননা স্বরুপ আকছামেএলহামবলা হয়। উক্ত এলহাম, জাহেরী আহকামের সহিত মোখালেফাত পরিদৃশ্য হইলেও প্রকৃত প্রস্তাবে আছলে অহীর সহিত বিরোধহীন। যেহেতু হুজুরে আকরম (দঃ) জওয়ামেউল কলেম ছিলেন বিধায়, তাহার কথা-বার্তা, ভাব-ভঙ্গিমা প্রত্যেকে স্ব- স্ব ক্ষমতানুযায়ী বুঝিতে সক্ষম হইয়াছেন। ফোকহা এবং মোহাদ্দেছীনগন শুধু ভাষাগত ভাবে আভিধানিক অর্থ মূলে ব্যাখ্যা দিয়াছেন। ছুফীয়ায়ে কেরামগনরাজ আছরারমূলক ভাব ধারাকেই  প্রাধন্য দিয়াছেন। যাহা তফছীরে আল্লামা মুহীউদ্দীন ইবনে আরবীতে সুস্পষ্ট।
ইসলামে ছুফীজম বা আধ্যাত্মিক ভাবধারার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :-
আহলে তরীকতের বিশেষ অবগতির উদ্দেশ্যে, মিসরের ফুয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোস্তফা হেলমী রচিততায়ারিখে তছাউফে ইসলাম” (উদ্দু অনুবাদ, রঈছ আহমদ জাফরী) কিতাবের বর্ননা মতে ইসলামে ছুফীজম বা আধ্যাত্মিক ভাবধারার সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক বর্ননা দেওয়া হইল।
হিজরী ১ম হইতে ২য় শতাব্দী :-
হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষ ভাগ হইতে ২য় শতাব্দী  পর্যন্ত সময়ে ফোকহা- ওলাময়ে জাহের এবং ছুফীয়ায়ে কেরাম বুর্জগানে দীনগন নীতিগত ভাবে দ্বিধা বিভক্ত হইয়া পড়েন। ছুফীয়ায়ে কেরমাগণের ভাবধারা হইল, মোরাকাবা, রেয়াজত, মোজাহেদার দ্বারা এলমে মোকাশেফা হাছেল, জওক জজবাত সমন্বয়ে এলমে কলবীর মাধ্যমে মোশাহেদায়ে জাতে হক আয়ত্বে, এরফানে হক-আল্লাহ পরিচিতি সম্ভব। তাহাদের ভাবধারা, কোরআন হাদীছের বাহিরে কিছু নহে। বরং রাসূলে আকরম (দঃ) হইতেই রুহানী জিন্দেগীর নূরে এলম প্রাপ্ত। খোলাফায়ে রাশেদীন এবং আছহাবে ছুফফাগন, রুহানী জিন্দেগীর নজীর। ফোকাহাগনের চিন্তাধারা, পাক-তাহারত, নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ্ব এবং পরস্পর দুনিয়াবী মোয়ামেলাত, যাহাকে এক কথায়এবাদতে মোতনাফিয়া-মোয়ামেলাতে তেবারীয়াবলা হয়, তঃপ্রতিই  নিবদ্ধ রহিল। তখনই উভয়ের মধ্যে বিবাদমান অবস্থা দেখা দিল। ছুফীয়ায়ে কেরামগনও কেতাব লিখিয়া তাহাদের ভাবধারা গোপনে প্রসার করিতে লাগিলেন। উক্ত সময়কালীন বুর্জগানে দীনের মধ্যে (আহলে রসূলের হজরত ইমাম সৈয়দ জায়নুল আবেদীন, সৈয়দ ইমাম বাকের, সৈয়দ মূসা কাজেম, সৈয়দ আলী রজা (রজিয়াল্লাহু আনহুম) এবং হজরত হাসন বছরী, মালেক বনি দীনার, ফজলে রক্কাশী, রেবাহ বিন আমর, ছালেহ বিন বশর, আবদুল ওয়াহেদ বিন জায়েদ, ইব্রাহীম বিন আদহাম বলখী, শরীফ বলখী, হজরত মারুফে করখী, আবু হামজা ছুফী, রাবেয়া বছরী (রজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) প্রমুখ আওলীয়ায়ে কেরামের নাম উল্লেখযোগ্য।
হিজরী ৩য় ও ৪র্থ শতাব্দী :-  তরীকা চালো ।
হিজরী ৩য় এবং চতুর্থ শতাব্দীতে আব্বাছী খেলাফতের সময়, মুসলিম জাগরনের প্রানকেন্দ্র বাগদাদ নগরীতে, ছুফীয়ায়ে কেরামগন গ্রন্থাদি লিখিয়া আধ্যাত্মিক-জজবাতী ভাবধারা বিকাশ করিতে লাগিলেন। তন্মধ্যে কলাবাজীরতায়ারীফ মজহাবে আহলে তছাউফআবু তালেব মক্কীরকুয়তুল কুলূব,” হোজায়রীরকশফুল মাহজুবকুশায়রীররেসালায়ে কুশাইরীইবনে  খলদীরতায়ারিখে তছাউফে ইসলামউল্লেখযোগ্য। সেই সময় ছুফীয়ায়ে কেরামগন, স্পষ্টভাবে তরীকার মাধ্যমে, মুরীদানকে রুহানী জিন্দেগী হাল জজবাতের ছবক প্রদান করিতে লাগিলেন। এই শতাব্দীদ্বয়ে, রুহানী জিন্দেগী তছাউফ ভাবধারায় এলমে বাতেন অর্জ্জনের পদ্ধতি নিরোপনে কয়েকটি তরীকার উদ্ভব হয়।
() “তরীকায়ে ছকতীয়াযাহার উৎপত্তি হজরত ছিরে ছকতী (কঃ) হইতে
() “তরীকায়ে তায়পুরীয়াউহার উৎপত্তি হজরত সোলতান বায়েজিত বোস্তামী (কঃ) হইতে। জস্ম ৯০ হিঃ ওফাত ২৬১ হিঃ।
() “তরীকায়ে জুনায়দীয়াউহার প্রবর্ত্তক হজরত জুনায়দ  বাগদাদী (কঃ)
() “তরীকায়ে খররাজীয়াউহার প্রবর্ত্তক হজরত আবু ছঈদ খররাজ (কঃ)
() “তরীকায়ে নূরীয়াউহার প্রবর্ত্তক হজরত আবু হোসাইন নূরী (কঃ)
() “তরীকায়ে মলামীয়াউহার প্রবর্ত্তক হজরত হামদুন কচ্ছার (কঃ)
এই শতব্দীদ্বয়ের বুজগানে দীনের মধ্যে হজরত ছিরে ছকতী, সোলতান বায়েজীত বোস্তামী, আবু সোলায়মান দরানী, হারেছ মহাছেবী, জুন্নুনে মিছরী, ইবনে আতা, আমর বিন ওছমান মক্কী, এহায়া বিন মায়াজ, আবু বকর শিবলী, জুনায়দ বুগদাদী, আলী বিন মোয়াফফক, হোসাইন বিন মনছুর হাল্লাজ কাদ্দছাল্লাহু আছরারাহুম প্রমুখ মহাসাধকের নাম উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে ফোকাহ এবং ছুফীয়ায়ে কেরামগনের মধ্যে বিরোধের মাত্রা প্রকট আকার ধারন করে। ৩০৯ হিজরী সনে ওলামায়ে জাহেরের কুফরী ফতোয়ার ভিত্তিতে, হজরত হুসাইন বিন মনছুর হাল্লাজকে বর্ব্বরতা মূলক শাস্তি প্রদান করা হয়। প্রথম দুররা মারা তাপর  হাত-পা কাটিয়া ফেলা এবং দেহ  হইতে মাথা বিচ্ছেদ করিয়া আগুনে জ্বালাইয়া ফেলা ও্র ছাইগুলি দজলা নদীতে নিক্ষেপ করা। তিনি মহান ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন কামেল অলীউল্লাহ ছিলেন। তিনি এলমে মায়ারেফাত বিষয়ে প্রায় ৪৭ খানা গ্রন্থ রচনা করিয়া গিয়াছেন। তন্মধ্যে কেতাবেএলমুল বকা ফানারনাম উল্লেখযোগ্য। তাহার ভাবধারা ছিল, () জাতে বশরীর মধ্যেই জাতে এলাহীহুলুলসন্নিবেশিত। () হাকীকতে মোহাম্মদী কদীম (আদি) () তৌহীদে আদয়্যান- ধমএকত্ববাদ। এই তিনটি ভাবধারাই ছিল, ফোকহাগনের নিকট কুফরী এবং ইসলামের খেলাফ।
ছুফীয়ায়ে কেরামগন বলেন হুসাইন বিন মনছুর হাল্লাজ একজন শেষ্ঠ অলী উল্লাহ। পরবর্ত্তীকালে হজরত মওলানা জালালুদ্দীন রুমী (কঃ) দৃঢ় কন্ঠে তাহার প্রশংসা করিতে লাগিলেন। শেখ ফরীদ উদ্দীন আত্বার (কঃ) তাহাকেশহীদে হকনামে ভূষিত করেন।


হিজরী ৫ম ও ৬ষ্ট শতাব্দী :-
হিজরী ৫ম শতাব্দীর  বুজুর্গানে  দীনের মধ্যে ইমাম গজ্জালী (কঃ) এর নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি ছুফী ভাবধারা বুঝাইবার প্রচেষ্টায় দর্শন বিষয়ে অনেক গ্রন্থাদি রচনা করেন। কিন্তু আছেহাবে জাহের ফোকহাগনের রোষানল থেকে তিনিও রেহাই পাইলেন না। তাহাকেজন্দীকধর্মহীন নামে আখ্যায়িত করেন।
হিজরী ৫ম  শতাব্দীর প্রথম ভাগে, গাউছুল আজম (মশরেকী) হজরত পীরানে পীর দস্তগীর(কঃ) এর আবির্ভাব হয় ( ৪৭০ হিজরী ) । ওফাত ৫৬১ হিজরী।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, তাহার পূর্ব্বে উভয় পক্ষের বিবাদ এতই বাড়িয়া গিয়াছিল যে, আল্লাহ-পরিচিতি এলম এবং জজবাত হইতে অধিকাংশ মুসলমান একেবারে সড়িয়া পড়ে। তিনি আসিয়া বেলায়তে ওজমার মহাশক্তিতে, আধ্যাত্মিক ভাবধারা হাল জজবাত কায়ফিয়তের প্রভাবে মানব জাতির জন্য আল্লাহ সান্নিধ্য লাভের পথ সুগম করিয়া দিলেন। তবে তিনিও কুফরী কতোয়া হইতে রেহাই পান নাই।
তাহার পরবত্তী সময়ে, তাহার আধ্যাত্মিক ভাবধারার অনুসারী এবং খলীফা হজরত শাহাবুদ্দীন সহরওয়ার্দ্দী (কঃ) কে ওলামায়ে জাহেরের কুফরী ফতোয়ার ভিত্তিতে, সোলতান সালাহুদ্দীন কর্ত্তৃক হিজরী ৫৮৭ সনে প্রান দন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সেই যুগে হিজরী ৫৬০ সনে, তছাউফের বিখ্যাত আলেম মহামনিষী আল্লামা মুহীউদ্দীন বিন আরবীর জন্ম হয়। হজরত হোসাইন বিন মনছুর হাল্লাজের আকায়েদ, “ওহাদাতুল অজুদমানে মানবের মধ্যেই আল্লাহী জ্যোতি বদ্যমান। হাকীকতে মোহাম্মদীই জাতে এলাহীরমজহারে আজমপূর্ণ  বিকাশ স্থল।তৌহিদে আদয়্যানধর্ম  একত্ববাদ ইত্যাদি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের ভাবধারায় বহু গ্রন্থ রচনা করেন। তাহার লিখিত গ্রন্থ ১৫০ খানার কম নহে।
তখন এই মহাপুরুষের বিরুদ্ধে আহলে জাহের ফোকহাগন ক্ষেপিয়া উঠেন। তাহার প্রতি কুফরী ফতোয়া প্রদান করেন
ছুফীয়ায়ে কেরামগন তাহাকেশায়খে আকবর কিবরিতে আহমর” (শ্রেষ্ঠ অলি উল্লাহ এবং কিমিয়া) ইত্যাদি উপাদিতে ভূষিত করেন।
তাহার ওফাতের পরও তাহার আকায়েদ সম্বন্ধে বিরাট আলোড়ন থাকিয়া যায়। তাহার বিরুদ্ধাচরন করীদের মধ্যে ইবনে তিমিয়া, (যিনি রসুলুল্লাহ (দঃ) এর রওজা পাক জেয়ারত করা হারাম এবং অলী উল্লাহগনের উছিলা গ্রহন শরআর খেলাফ মর্ম্মে এক ফতোয়া প্রদান করিয়াছিলেন। সন ৭২৬ হিজরী) ইবনে হাজর আছকলানী ইব্রাহীম বকায়ীর নাম উল্লেখযোগ্য। বকায়ী তাহার কুফরী ফতোয়ার ভিত্তিতেতনবীহুন্নবী আলা তকফফুরে ইবনে আরবীনামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। ইহার রদ হিসাবে আল্লামা জালালুদ্দীন ছয়ূতীতনবীহুন্নবী ফি তবররেয়াতে ইবনে আরবী নামক একখনা গ্রন্থ লিখিয়াছেন।
৭ম শতাব্দী :-
তৎসময়কালীন এবং তাহার পরবর্ত্তী বহু বুর্জগানে দীন  তাহাকে এতই ভালবাসিতেন যে, তাহার প্রদর্শিত তরীকাই অবলম্বন করেন। সপ্তম শতাব্দীতে ইবনে আরবীর দীক্ষিত পথ অবলম্বনে আনেক বুর্জগানে দীনকে আসক্ত দেখা যায়। ইবনে আরবীর ভক্ত আশেকানের মধ্যে তৎকালীন, ওমর বিন ফায়েজ, আবদুল হক ছবঈন, ছদরুদ্দীন কুনী, আমেরুল বছরী, নজমুদ্দীন কোবরা (কদ্দছাল্লাহু আছরারাহুম) এবং পরবর্ত্তী আফীফুদ্দীন, জালালুদ্দীন ছয়ূতী, ফখরুদ্দীন রাজীর (রঃ) নাম উল্লেখযোগ্য।
উক্ত আকায়েদের ভিত্তিতে ইবনুল ফারেজ এবং ইবনে ছবঈন (কঃ) বহু গ্রন্থাদি রচনা করিয়া গিয়াছেন। তাহারা আশেকে এলাহীরুপে পরিগনিত। এই শতাব্দীদ্বয়ে আরও কয়েকটি তরীকার প্রসার হয়।
() “তরীকায়ে কাদেরীয়াহজরত গাউছুল আজম বড় পীর ছাহেব কেবলা (কঃ) কর্তৃক প্রবর্তিত।
() “তরীকায়ে রেফাইয়াহজরত আহমদ বিন হোসাইন রেফাই (কঃ) প্রবর্ত্তিত।
() “তরীকায়ে সহরওয়াদ্দীয়াহজরত আবু হাফছ আমর সহরওয়াদ্দী (কঃ) প্রবর্ত্তিত।
() “তরীকায়ে শাজলীয়াকুতুবে জামান আবুল হাছন শাজলী (কঃ) প্রবর্ত্তিত।
() “তরীকায়ে ফারেছীয়া বা মৌলবীয়াযাহার প্রবর্ত্তক, আরেফ বিল্লাহ হজরত মাওলানা জলালুদ্দীন রুমী (কঃ) গান-বাজনা, রকছ-জজবাত, তাহার জিকির মজলিসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল।
() “তরীকায়ে আরবীয়াআবুল আব্বাছ আহমদ বদবী (কঃ) কর্তৃক প্রবর্ত্তিত। সেই যুগে আরও বহু তরীকার প্রসার হইয়াছিল, মন্মধ্যে এইগুলিই প্রধান।
*** তখন পাক-ভারতে তরীকায়ে চিশতিয়ার বেশী প্রসারতা লাভ হয়। উক্ত তরীকার প্রবর্ত্তক হইলেন, কুতবে আলম হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী হাছন ছঙ্ঝুরী (কঃ) ওফাত ৬৩৩ হিজরী। তাহার তরীকায় মাহফিলে সেমআর রেওয়াজ বেশী পরিলক্ষিত হয়।
মুরীদানের উরুজে রুহানীয়ত এবং হাল-জজবাত গ্রহনে আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য হাছেল, শায়খে কামেলগন যে পন্থা সহজ এবং উপযোগী মনে করিয়াছেন, উহাই তরীকা। ***
হিজরী ৮ম -৯ম শতাব্দী :-
অতপর হিজরী ৮ম শতাব্দীতে অতীতের বুজর্গানে দীনের তরীকায়ে ছুফীয়ার অনুসরণেই ছালেকীনগণ রুহী জিন্দেগী আয়ত্ব করিতে লাগিলেন। ৮ম শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ বুজর্গানে দীনের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক কাশাইর নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি বহু কেতাবাদি লিখিয়াছেন। তিনি তাঁহার কেতাবাদিতে ইবনে আরবী এবং ইবনুল ফারেজ (কঃ) এর অনুকরণ করিয়া গিয়াছেন। তাঁহার ভাবধারায় আল্লামা ইবনে আরবীর ভাবধারাই প্রস্ফুটিত হইয়াছে।
হিজরী ৮ম শতাব্দীর শেষ ভাগে নবম শতাব্দীর প্রথমে, আল্লামা ইবনে আরবীর মজহাবের প্রতি অত্যন্ত আকৃষ্ট একজন মহাপুরুষ আত্ম প্রকাশ করেন। তিনি হইলেন হজরত আবদুল করীম জিলী (কঃ) তাঁহার গ্রন্থাদির মধ্যেআল্ ইন্ছানুল কামেল কেতাবের নাম উল্লেখযোগ্য। উক্ত কেতাব পাঠে বুঝা যায়, তিনি কত উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন অলী উল্লাহ। তাঁহার কেতাবাদিতে হজরত আল্লামা ইবনে আরবীর আকায়েদই প্র¯ফুটিত।
হিজরী ১০ম শতাব্দী :-
হিজরী দশম শতাব্দীতে ইবনে আরবীর মজহাবের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত, রুহী জজবাত সম্পন্ন মহাপুরুষের বিকাশ লাভ ঘটে। তিনি হইলেন আবদুল ওহাব শোরানী তাঁহার গ্রন্থাদির মধ্যে এলমে ছলুক জজবাতী অবস্থার অভিনব বর্ণনা বিদ্যমান। তাঁহার  রচিত কেতাবআল্ কিবরিতুল আহ্মরএবং আলইওয়াকীত অল্ জওয়াহের সুপ্রসিদ্ধ। উক্ত কেতাবাদিতে ইবনে আরবীর ভাবধারা এবং আকায়েদ সুস্পষ্ট।
হিজরী একাদশ  শতাব্দী :-
হিজরী একাদশ শতাব্দীতে, আল্লামা ইবনে আরবীর মসায়েলে ছলুকের পূর্ণ অনুগামী হইলেন হজরত আবদুল গণী নাবলুছী ইবনে আরবীর নীতিমালাকে তিনি আরও মজবুত করিয়া বর্ণনা করেন, তাঁহার রজনার মাধ্যমে। ১১৪৩ হিজরীতে এই মহাপুরুষ এন্তেকাল করেন।
তৎপরবর্তী একশত বৎসরের কিছু বেশী সময় ছুফী ধ্যান ধারণার নামে, ধোকাবাজী অর্থলোভের প্রসারতা প্রকট হইয়া উঠে। অধিকাংশ লোক পীর সাজিয়া মানুষকে ছুফীজমের ধোকা দিতে লাগিল বটে, জজবাত দিতে সমর্থ হয় নাই। বরং এশ্ক জজবাতই তছাউফের দীক্ষা এবং নীতি।
হিজরী দ্বাদশ শতাব্দী :-
উপরোক্ত তছ্উাফের ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে বলিতে হয় যে, আল্লামা আবদুল গণী নাবলুছির একশত বৎসর পর, শায়খুল আকবর হজরত আল্লামা মুহীউদ্দীন বিন আরবী এবং হজরত হোসাইন বিন মনছুর হাল্লাজ হাল্লাজ (কঃ) এর আকায়েদ নীতিমালা, () “ওহাদাতুল অজুদজাতে বশরীর মধ্যে, জাতে এলাহী হলুল সন্নিবেশিত; () হাকীকত মোহাম্মদী কদীম এবং ছুরতে মোহাম্মদী জহাতে এলাহীরমজহারে আজমশ্রেষ্ঠ বিকাশ স্থল; “তৌহীদে আদুয়্যানধর্ম্ম একত্ববাদ ইত্যাদি। শ্রেষ্ঠ আরেফ বিল্লাহ হজরত মাওলানা জলালুদ্দীন রুমী (কঃ) প্রমুখ ওহাদাতুল অজুদ নীতিতে বিশ্বাসী আওলীয়ায়ে কেরামগণের মতবাদের প্রধান ধ্বজাধারী, হাল-জজবাত সম্পন্ন ক্ষজন্মা এক মহাপুরুষের জন্ম হয় হিজরী ১২৪৪ সনে।
আল্লামা মুহীউদ্দীন ইবনে আরবী তাঁহার  রচিত কেতাবফছুছুল হেকমেখাতেমুল আওলীয়া লকবে, খাতেমে বেলায়তে মোকাইয়্যাদায়ে মোহাম্মাদী এবং বেলায়েতে মোতলাকায়ে আহমদীর (বাধাহীন বেলায়তের) আরম্ভকারীর মহিমা বর্ণনায় এই যুগ শ্রেষ্ঠ অলী উল্লাহর ভবিষ্যদ্বানী করিয়া গিয়াছেন। খাতেমুল বেলায়েত ওজমার মুলধারগাউছুল আজমশ্রেষ্ঠ ত্রাণকর্তা উপাধিতে ভূষিত, শামসুল আলামীন মাহবুবে রব্বানী হজরত মাওলানা শাহ্ ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ হজরত কেব্লা মাইজভান্ডারী (কঃ) নামে তিনি বিশ্বে পরিচিত। তাঁহার প্রবর্ত্তিত তরীকাই, তরীকায়ে মাইজভান্ডারী নামে সু-প্রসিদ্ধ। যাহাতে এবাদত (উপাসনা) হইতে এতায়াত (আনুগত্যা) কে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা হইয়াছে এবং জিকির-আজকার হইতে হাল-জজবাতকেই প্রাধান্যতা দেওয়া হইয়াচে। তিনি শায়খে ফায়াল বিধায় ধর্মীয় ফাছাদী মনোভাব পরিহারী সে কোন ব্যাক্তিকেনজরে করমেরমহিমায় ফয়উজাতে এত্তেহাদী এনজেজাবী দানে সক্ষম ছিলেন। হাল০জজবাত, আনুগত্যই তাঁহার তরীকার মুখ্য উদ্দেশ্য। যদ্বারা অল্প সময়েই হেজাবে জুলমানী অপসারণে, আল্লাহ সান্নিধ্য লাভে মুরীদান সমর্থ হয়।
মনুষ্যতার পরিচয় আখলাকে হাসনা। আখলাকের পরিচয় আদাবে তরীকত।আওলীয়ার আস্তানায় আদাবই প্রধান তাহা মানবের সব্ব মুক্তির উপায়।
বিশ্বনবী সৈয়দুল কানেয়াত (দঃ) বলেন,
আমার প্রভুই আমাকে আদব শিক্ষা দিয়াছেন। সুতরাং আমার আদব অতীব সুন্দর।
হদীছ বাণীঃ-
তোমরা আল্লাহর স্বভাবে স্বভাবান্বিত হও।
কোরআন বাণীঃ-
তোমাদের জন্য রসূলের মধ্যেই সৎ চরিত্রের আদশ সমূহ বিদ্যমান।
আশেকান-তালেবান-ছালেকীনদের দায়িত্বে, সব সময় আদবের লেহাজ রাখা অপরিহায্য। চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, উঠা-বসা, কথা-বাত্তা, এবাদত, রেয়াজত সব অবস্থায় আদবের লক্ষ্য রাখা নিশ্চিত জরূরী।

বেলায়তে ওজমা বিশ্ববাসীর দিশারী

রেসালতে কোবরা মোহাম্মদীর (দঃ) হেদায়তী ধারা-রুহী-হু সূতী কেন্দ্র, যাহা জাতে-হু এর তনজ্জুল ক্রমে মাআদ্দায় হেদায়ত রুপেমজহারে আজমশ্রেষ্ঠতম বিকাশ স্থল স্বরুপ জাতে মোহাম্মদ (দঃ) এর ভিতর মোকাম্মেল (পূণতা দানকারী) হয়। নূরে হেদায়তছেরাজান মুনীরাআলোকদানকারী চেরাগ রুপে-বেলায়তে ওজমা বিশ্ববাসীর দিশারী। জাতি ধর্ম  নির্বিশেষে এই বেলায়তের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ মানবতার উৎকষ সাধনের একমাত্র উপায়।যে কোন মানব, আত্মার কলুষ মুক্তির উদ্দেশ্যে বেলায়তে ওজমা রহমানীয়া তাল ভান্ডারীয়ার প্রতি পূর্ণ  আত্ম সমপণ করিলে নির্বান  (মুক্তি) পাইবে। তবে-তওহীদের প্রতি আস্থাবান থাকিয়া অদ্বৈত আল্লাহ স্বীকারেজাতী-হু তায়াল্লকীয় মাআদ্দাযাহা উদ্ধশক্তি-স্রষ্টার রুহী-হু সূতী কেন্দ্র বা আরাধনার মূল লক্ষ বস্তু উহাইস্মৃতি পটে গ্রহণ করিবে। অথাৎ-দিলের একগ্রচিত্ততায় বরখজ ধ্যান করিবে। তাহা ব্যতীত কোন সৃষ্টির প্রতি নত হইতে পারিবেনা। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভাষায় উদ্ধতন মহা শক্তির বা রুহী-হু সূতী কেন্দ্রের প্রশংসা আরাধনায় রত থাকিবে। রহমানীয়া তাল ভান্ডারীয়ার বেলায়তে ওজমার বা স্রষ্টার মহা বন্ধুত্বপূণ অবস্থার প্রশংসা গীত পূরবক অদ্বৈত মহা শক্তির আরাধনায় রত থাকিবে। তাহাদের সামাজিক অবস্থার পরিবতণের চেয়ে দিলী কশিশ বা অন্তরের পরিবত্তনই বেশী প্রয়োজন। যেহেতু আনুষ্ঠানিক ধম্মাচার ব্যতীরেকে রুহী-হু সূতীি কেন্দ্রের মাধ্যমে, কৃচ্ছ সাধনে-অন্তরের কলুষ মুক্তিতে, অন্তযামীর সন্ধান পাইতে সমথ। যাহা বেলায়তে ওজমা রহমানীয়া তাল ভান্ডারীয়ার এক মহা অবদান এবং সৃষ্টিকত্তার রহমান-রহীম গুনজঃ প্রকৃতির বিরাট অনুগ্রহ।
তবে তাহারা সুন্নতে ওজমা মতে দিলে এবং মৌখিক ভাষায়লাইলাহা ইল্লাল্লাহুপড়িবে এবং অদ্বৈত আল্লাহর স্মরণ করিবে। তৎসঙ্গে সৃষ্টির মূলাধার মোহাম্মদ (দঃ) এর প্রতি পূণ আস্থাবান এবং অসক্ত থাকিবে। হু নোকতায়ে রহমানীয়ার প্রতি পূণ রুজু হইলে বলিবেআমি রুজু হইলাম, আমাকে ইসলামী বায়াত রুপে কবুল করুন।
তাহারা পায়খানা-প্রস্রাবের পর, ইসলামী বিধান মতে অজু করিবে। যার যার ভাষায় অদ্বৈত মহা শক্তির অচ্চনা করিতে থাকিবে।মুসলমানের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পরিহার করিবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা তিরীক্ষার সময় একক মহা শক্তির বলিয়ানে দৃঢ় থাকিতে হইবে। দরবারে আজ্জী গৃহীত হওয়ার পর বায়াত করা হইলে মুসলমানদের মত পুরুষগন মাথা মুড়াইবে এবং গোসল করিবে। মহিলাগন গোসল করিবে।
এইরুপ, যাহারা শুধু মাআদ্দায় এরসালী স্বীকারে তওহীদের স্বীকৃতি সহ আশেক প্রেমিক, তাহাদের আরাধনার সময়, ঢোলক, জুরী, হারমোনিয়াম, বাশী ইত্যাদি সমন্বয়ে পঞ্চ শক্তির মাধ্যমে কীত্তণ সূরে একাগ্রচিত্তে, জাতী তায়াল্লকীয় মরকজ বা উদ্ধতন মহা শক্তির প্রশংসা গীতি পূববক রাত্রির যে কোন সময়, কাহারো অসুবিধা না হয় মত সেমআ করিবে। দিনেও ইচ্ছা করিলে একবার করিবে। কিন্তুনিশ্চয়ই খেয়াল রাখিতে হইবে, যন্ত্রাদি যেন আরাধনা বা সেমআর সময় ব্যতিত অন্য কোথাও ব্যবহৃত না হয়। বাশী যেন অন্য সময় বা অন্য কোথাও বাজান না হয় তৎপ্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিবে।
উক্ত রুপ আত্মসমপর্ণ কারীর আত্মার উৎকষ সাধিত হইবে। মৃত্যুর পর তাহাদিগকে আগুনে জ্বালাইবেনা বরং সমাধিস্থ করিতে হইবে। আশেক প্রেমিক রুপে তাহারা ছোমরায়ে এশকের ফজীলত প্রাপ্ত হইবে। স্তর অনুপাতে রুজুয়ী আশেক-তালেব নিজ হাল জজবাত অনুযায়ী একাগ্রচিত্ততা মতে ছোমরায়ে করমের ফজীলতের অধিকারী।
কোরআন - হাদীসের আলোকে বায়াত  গ্রহন  :-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসুন আমরা সকলেই সকল ছালাত আদায় করি।
কোরআনের বানী:- হে মোহাম্মদ সা: যাহারা আপনার নিকট বায়াত গ্রহন করে , তাহারা নিশ্চই আল্লাহর নিকট বায়াত হইয়া থাকে।তাহাদের হাতের উপর আল্লাহ পাকের হাতই।(আদাবে সলীকা পৃষ্টা-60)
রাসুল সা: এর বানী:-যে ব্যক্তি আল্লাহর সহিত বসিতে ইচ্ছুক,তবে আধ্যাত্বিক বিদ্যা সম্পন্ন (ওলীর)ব্যাক্তির সংস্রব গ্রহন করা উচিৎ। (আদাবে সলীকা পৃষ্টা-61)
কোরআনের বানী:-হে মোহাম্মদ সা: ঈমানদার মেয়েলোক যদি বায়াত হওয়ার জন্য আপনার নিকট আসে তাহারা শিরীক করিবেনা,চোরী করিবেনা,জেনা করিবেনা,নিজ আওলাদকে মারিয়া ফেলিবেনা,মিথ্যা অপপ্রচার করিবেনা,সৎ কাজে আপনার অবাদ্য হইবেনা এই স্বীকারে তাহাদিগকে বায়াত করুন।(আদাবে সলীকা পৃষ্টা-63)
রাসুল সা: এর বানী:- যে ব্যাক্তির এমতঅস্তায় মৃত্যু হইয়াছে,সে জামানার ঈমামের মরখজের মাথাহত বায়াত গ্রহন করেনাই জাহেলিয়ত অবস্থায় তাহার মৃত্যু ঘটিয়াছে।(আদাবে সলীকা পৃষ্টা-64)
রাসুল সা: এর বানী:- যে ব্যাক্তি আমার কোন অলীর সহিত বিদ্যেষ ভাবাপন্ন হয়,আমি তহাকে আমার সহিত যুদ্বের আহবান করিতেছি। আল্লাহ পাক বলেন-যে সকল উপায়ে আমার বান্দা আমার নৈকট্য অরজন করিয়া থাকে তাহা আমার নিকট তৎ উপর বরষিত ফরজ হইতেও পচন্দনীয়।(আদাবে সলীকা পৃষ্টা-46)
রাসুল সা: এর বানী:- আল্লাহ এবং মোমেনগণ আবু বক্কর ব্যাতীত অন্য কাহাকেও আমার স্হলাভিসিক্ত করিবেনা তাই আবু বক্করের নিকট প্রত্যেকেই বায়াত গ্রহন করুন। (আদাবে সলীকা পৃষ্টা-52)
রাসুল সা: এর বানী:- এই উম্মতে মোহাম্মদীর হিতা্রথে আল্লাহ তাআলা প্রতি শত বৎসর অন্তর একজন মোজাদ্দদ (মুহিউদ্দীন বা গাউছুল আজম)পাঠাইবেন যিনি ধরমকে নতুনত্ব দান করিবেন।(আদাবে সলীকা ৭৫)
তফছীরে ইবনে আরবী- আল্লাহ পাক বলেনতুমার জাতকে পবিত্র কর এবং বেলায়তের উৎস হক্কুল এক্বীন মকামে উন্নীত হও। (আদাবে সলীক ৭৫)
কোরআনের বানী:-হে ঈমানদার গন আল্লাহ,রাসূল এবং উপরিস্থ মনোনীত গনের নিরদেশ মানিয়া চল ,তাহাদের আনুগত্য গ্রহন কর। (আদাবে সলীকা ১২৬)
বন্ধুগণ রাসুল সা: এর উম্মত হয়ে হোসাইনী মোসলমান হইতে হলে অবশ্যই অবশ্যই এবং অবশ্যই বায়াত হইতে হবে।আর এজীদী মোসলমান গণ,তাদের রাসুল সা: এর উম্মত হওয়ার দরকার নাই তাই ওলী আউলীয়ার কাছে যাওয়ারও দরকার নাই।

পাঁচ মরখজে “হু”

আচ্ছালামু আলাইকুম
আসুন আমরা সকলেই সকল ছালাত আদায় করি।
হাদিস শরীফে রাসুলে পাক (দঃ) বলেন-" মাছালুল জালিছেছ ছালেহে কাহা মিলিল মিছকে ইম্মা আইউহ দিবিকা ওয়া আম্মা আন্তাতাবাইকা মিনহুয় ওয়া ইম্মা ইনতাজিদু মিনহু রিইহান তাইয়েবাতান" অর্থঃ আওলিয়াগণের নিকটে বসা কেমন? যেমন আতর বিক্রেতার দোকানে বসা।যেখানে বসলে নিশ্চই গোলাপের খোশবু পাওয়া যায় এবং উঠে আসলেও সুঘ্রানের কতক পরিমাণ ক্ষণ কালের জন্য সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে।নবী করিম (দঃ) এর আওলাদগণকে আহলে বায়ত রাসূল (দঃ) বলা হয়। ইসলামী দুনিয়ার আকাশে তাঁরা সুউজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি। তাঁরা সর্বস্তরের মানুষের আদর্শ। ইসলামের প্রতিটি নীতিমালা বাস্তবায়ন হয় তাঁদের জীবনে। তাঁরা মানবতার মুক্তির দিশারী।  তাঁরা হলেন ---
## গাউছুল আজম পিরানের পীর দস্তগীর সৈয়দ আব্দুল কাদির জিলানী (রাহঃ)
## গরীবে নেউয়াজ হজরত খাজা মাইনুদ্দিব চিশতী (রাহঃ)
## গাউছুল আজম মগরিবি হযরত কেবলা মাইজ ভাণ্ডারী মাওলানা শাহ্সূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (রাহঃ)
## কুতুবুল আজম হযরত কেবলা বাবাজান মাওলানা গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারী (রাহঃ)
## কেবলা বাবা আশরাফুল আউলিয়া হুজুরে আজম আল্লামায়ে রহমানী হওলাপূরী হজরত মাওলানা ছুফি শায়খ মুসা আহাম্মদুল হক ছিদ্দিকি হানফি রহমানিয়া তাল ভাণ্ডারীয়া- আহাদিয়া তুল আহদিয়া শাহ্ আশ্তানায়ে পাক দরবারে মুশাবিয়া।ফরহাদাবাদ, হাট হাজারী, চটগ্রাম।তরীকা- রহমানিয়া তূল ভাণ্ডারীয়া তায়াল্লকে চিলছিলায়ে আল কাদেরিয়া তরীকা। ( সকল ধর্মের-সু-সংবাদ।)




1 comment:

  1. দরবার‌ে মূসাবীয়া , রহমানীয়া ভান্ডারীয়া ,এলাহী আহদীয়া হুঈয়া হু ।

    ReplyDelete